দেশে হঠাৎ বেড়ে যাওয়া করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। এজন্য যাত্রীপ্রতি বাস ভাড়া বাড়ানো হবে না। গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
তবে বাসে মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে বাস ভাড়া আবারো বাড়ানোর জন্য সরকারের ওপর চাপ তৈরি করছেন পরিবহন মালিকরা। পরিবহন মালিকদের কয়েকটি সংগঠন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) প্রধান কার্যালয় বনানীতে আজ দুপুরের পর সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে একটি বৈঠক শুরু করেছে বিআরটিএ।
বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা এই বৈঠকে অংশ নিয়েছে। বাস ভাড়া বাড়ানো হবে কি না বা বাড়ালে কত বাড়ানো হবে- এ বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে।
বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ গণমাধ্যমকে বলেন, সরকার ভর্তুকি না দিলে আমরা বাসে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করলে আমাদের লোকসান হবে। হয় বাস ভাড়া বাড়াতে হবে না হলে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে।
বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা জনস্বার্থ বিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চাই না। আমরা বৈঠকে বসব, কথা বলব, তারপর সিদ্ধান্ত হবে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস ও মিনিবাসসহ সড়কে গণপরিবহন পরিচালনার ক্ষেত্রে আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।
প্রসঙ্গত, গত বছরের নভেম্বরের শুরুতে বাস ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল প্রায় ২৮ শতাংশ। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ওই সময় বাস ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল।
২০২০ সালে বিধিনিষেধ চলাকালে প্রথম দফায় ৬৮ দিন বাসসহ সবধরনের গণপরিবহন বন্ধ ছিল। সে বছরের ১ জুন থেকে আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস চলাচল শুরু হয়। মালিকদের প্রস্তাবে ওই বছর ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল বাস মিনিবাসে। গত বছর ভাড়া বাড়িয়ে অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেছিল বাস মালিকরা।